
KALATIA HAZRATPUR ALIM MADRASAH
KERANIGANJ,DHAKA. EIIN : 108105
KERANIGANJ,DHAKA. EIIN : 108105
সাম্প্রতিক খবর
মাদরাসার তথ্য
দাখিল-২০২৩ খ্রিঃ পরীক্ষায় কলাতিয়া হযরতপুর আলিম মাদরাসা'র জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১০ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার, কলাতিয়া হযরতপুর আলিম মাদরাসা'য় এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অত্র মাদরাসার গভার্ণিং বডির সভাপতি, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী জনাব মোঃ শাহিনুর ইসলাম শাহিন এবং অত্র মাদরাসার বিদ্যানুরাগী সদস্য, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী জনাব হাজী মোঃ আলাউদ্দিনের যৌথ উদ্যোগে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
অত্র মাদরাসার সুনামধন্য অধ্যক্ষ জনাব হযরত মাওলানা মুফতি মোঃ মোকাদ্দাস আলী'র সভাপতিত্বে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, মাদরাসার গভার্ণিং বডির সভাপতি জনাব মোঃ শাহিনুর ইসলাম শাহিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, মাদরাসার বিদ্যানুরাগী সদস্য জনাব হাজী মোঃ আলাউদ্দিন।
অত্র মাদরাসার সহকারী শিক্ষক জনাব মোঃ আব্দুর রশিদ (বিএসসি) এর পরিচালনায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, অত্র মাদরাসার গভার্ণিং বডির অভিভাবক সদস্য জনাব মোঃ মহিউদ্দিন, সাবেক শিক্ষানুরাগী জনাব মোঃ আবুল হাসেম।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন। অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ ।
জীবনে কেবল ভাল রেজাল্ট করাই বড় কথা নয় উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভার্ণিং বডির সভাপতি জনাব মোঃ শাহিনুর ইসলাম শাহিন বলেন, পড়া-লেখার মূল উদ্দেশ্য প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠা। এ দেশকে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সবার। কৃতি সন্তান হিসেবে তোমাদেরকে সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে।
ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ উপজেলার সবচেয়ে সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান Kalatia Hazratpur Alim Madrasah পড়ালেখা করে তোমরা যারা এ কৃতিত্ব অর্জন করেছো অবশ্যই তোমরা মেধাবি। তবে এটাই সব কিছু নয়। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো মানুষকে ভালাবাসা। মানুষকে জানা। গরীব,অসহায় মানুষের পাশে থাকা। উচ্চ শিক্ষাসম্পন্ন করে তোমরা যে যেখানে থাকবে সেখান থেকেই মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গভার্ণিং বডির শিক্ষানুরাগী সদস্য জনাব হাজী মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, বড়দের, গুনীজনদের সম্মান করতে হবে। ভালবাসতে হবে দেশ ও দেশের মানুষকে। তোমরা তোমাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে অবদান রাখবে এবং ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। জীবনে মা-বাবা ও শিক্ষকদের ঋণ শোধ করতে পারবে না। তাই তাদের অবদান আজীবন মনে রাখা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে, অত্র মাদরাসার অধ্যক্ষ মহোদয় জনাব মোঃ মোকাদ্দাস আলী, কৃতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশ যদি উন্নত হয়, সমৃদ্ধ হয় তাহলে তোমাদের সাফল্য, মা-বাবার কষ্ট সফল হবে। তোমরা ভালো রেজাল্ট করে মা-বাবার মুখ যেমন উজ্জ্বল করেছ, তেমনি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রেও তোমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে।
তোমাদের জ্ঞান শুধু পাঠ্য বইয়ে সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে হবে। ডিজিটালাইজেশনের কারণে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোবাইলের ব্যবহার বাড়ছে। আমরা ডিজিটাল ডিভাইস অবশ্যই ব্যবহার করব।
কিন্তু এর মধ্যে হারিয়ে যাবো না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও খেলাধুলা এবং অন্যান্য সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমে তোমাদের অংশগ্রহণ করতে হবে। জীবনে ব্যর্থতা আসতে পারে। সব কাজে সফলতা আসবে এমন নয়। এজন্য দমে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। সবার মাঝে অমিত সম্ভাবনা রয়েছে।
নিজেদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে, জীবনের যে কোনো পর্যায়ে সাফল্য আসতে পারে। আমরা অন্যের কাছে অনুপ্রেরণা হবো, যাতে অন্যরা আমাদের দেখে শিখতে পারে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আজকের এই সংবর্ধনা তোমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগাবে। আমরা তোমাদেরকে অনেক উঁচুতে দেখতে চাই।
পরে অতিথিবৃন্দ কৃতি ওই ১০ জন শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট, ও সম্মাননা সার্টিফিকেট তুলে দেন এবং প্রতিষ্ঠানের অন্য ৩৪ জন শিক্ষার্থীদেরকে ফুল দিয়ে উৎসাহ প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত, সংবর্ধিত ওই ১০ জন কৃতি শিক্ষার্থী চলতি ২০২৩ সালের দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
তারা ১০ জনই বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী এবং ১০ জনই কলাতিয়া হযরতপুর আলিম মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
পরিশেষে অধ্যক্ষ মহোদয় দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে দেশ ও জাতির জন্য দোয়া করেন এবং অত্র মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মহোদয়ের পরিবারের আশু রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করে অনুষ্ঠানটি সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
সার্বিক সহযোগিতায় ও প্রিন্ট মিডিয়ার দায়িত্বে ছিলাম আমি মোঃ হেদায়েত উল্যাহ্, সহকারী শিক্ষক (ডিজিটাল প্রযুক্তি)